mononesh das : হাওয়ার মিঠাইয়ের কথা মনে পড়ে মুক্তাগাছার শহরতলী গ্রাম মুজাটির স্মৃতি ঘিরে ।
কাঠের টোলে রাখা বাল্যশিক্ষা বই ।চেয়ারে বক স্যার আমি পিড়িতে বসে পাঠদান পাঠ গ্রহন চালিয়ে যাচ্ছি । এরই মাঝে হাওয়ার মিঠাই বিক্রেতার হাঁক । কানা পয়সা, পাচ পয়সা, এক আনা দুই আনা যা আছে তাই নিয়ে ভোদ্রৌড় । বক স্যারের বারণ কানে নেয়ার টাইম নেই । হওয়াই মিঠাই ছিল বাচ্চাদের সখের মজার বেসাতি খাবার । দিনভর খেলেও পেট ভরবে না এমন ।
আজ হঠাৎ ফেসবুক ওয়ালে সহকর্মী ইত্তেফাক ফুলবাড়ীয়া সংবাদদাতা আবুল কালাম একটি ছবি পোষ্ট দিয়েছেন ।এই দেখেই মূলত লেখা । কালাম ভাল ছবি তুলে । আমি ওর একটি ছবি কাজে লাগিয়েছি ।
হাওয়াই মিঠাইয়ের মত আরো কিছু মিঠাই খাবার ছিল । এখন খুব একটা চোখে পড়ে না ।
জানা যায়, ১৪শ’র দশকে ইউরোপের ইটালিতে আখের রস সংগ্রহ করে জ্বাল দিয়ে ঘন করা হত । সেই রস হাতে মিশিয়ে তুলোর মত মিহি করে পারিবারিক পরিবেশে তৈরি করা হত । এরপর মেশিনে এটি তৈরি হয় ১৮৭৯ সালে আমেরিকায় ।
খুরমা, সাজ , বাতাসা, কটকডি গজা, তক্তি, লাড়ু– বা লাড্ডুর মত মিঠাই যা ছিল আবহমান কালের চিরায়ত বাংলার শ্রেষ্ঠ শিশু খাবার মিঠাই । শিশুদের মত বুড়োরাও মিঠাই পান বানিয়ে খেতেন । চমন বাহার, গোয়ামুড়ির মত মিঠাই মশলা আর স্বাদ বাড়াতে খয়ের মেশানো মিঠাই। কত হাজার বছর পুরনো বাঙালির শিশু ছেলে বুড়োদের এই খাবার তার ইতিহাসও হয়তো আমরা জানিনা । জানলে জানাবেন । এসব খাবারে শারিরীক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছিলনা ।
এসবের বদলে এসেছে চকলেট , বিস্কুট , চিপস, জুস, ক্যান্ডিসহ ক্যামিকেল মিশ্রিত সখের বাহারী খাবার । গ্যাস বদহজম লেগেই আছে সকলের শরীরে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন